?> ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন? - Best Information
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন?

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন?

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন?

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন সেটা জানতে হবে। এছাড়াও একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য ফ্রিল্যান্সিং হওয়ার জন্য কি কি লাগে সেটাও আপনাকে জেনে নিতে হবে। 

 

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন বা ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি লাগে এ সম্পর্কে যদি আপনার কোন ধারণা না থাকে। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই আপনাকে উপরোক্ত বিষয় দুটিতে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

 

তাই আপনারা যাতে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন তা জানতে পারেন। সেইজন্য আমাদের আজকের এই আয়োজন। আজকে আপনাদের সামনে আমরা সহজ ভাবে বর্ণনা করব ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে গেলে আপনার কি কি প্রয়োজন হবে? চলুন আমাদের মূল আলোচনা শুরু করি। 

 

 

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন?

বর্তমান সময়ে দেশে-বিদেশে সবখানেই সবথেকে আলোচিত একটি শব্দ হল ফ্রিল্যান্সিং। অল্প সময়ে ও ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। এছাড়াও এই পেশায় অল্প শ্রম দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি অর্থ আয় করা যায়। 

সব থেকে মজার বিষয় হলো, বর্তমানে সরকারি চাকরির চেয়েও ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি। এ কারণে সকল মানুষ নিজেকে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় যুক্ত করতে চায়। তবে আপনি যদি হুট হাট করে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিজেকে যুক্ত করেন। তাহলে পরবর্তীতে সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। 

 

কারণ যেকোন সেক্টরের কাজ করতে হলে। অবশ্যই সেই সেক্টর সম্পর্কে প্রথমে সঠিক ধারণা পেতে হবে। ঠিক তেমনিভাবে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরেও কাজ করার আগে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। তাই আপনাদের মাঝে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সঠিক গাইডলাইন নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন তা জেনে নেই। 

 

১. জ্ঞান অর্জন ও স্কিল তৈরি করা

আমরা সবাই জানি, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেকগুলো শাখা-প্রশাখা রয়েছে। এজন্য আপনাকে প্রথমে মনস্থির করতে হবে কোন সেক্টরে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন। ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং ও সিপিএ মার্কেটিং ইত্যাদি। 

উপরের যেকোন একটি সেক্টরে উপর আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বিশেষ করে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা ভালোভাবে কাজের প্রতি দক্ষতা অর্জন না করে, ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট তৈরি করে। তারপর তারা কাজ না পেয়ে হতাশায় ডুবে থাকে।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সফল হতে চান। তাহলে প্রথম কাজ হল যেকোন একটি সেক্টরের প্রতি দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করা। ধরুন আপনি নিজেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে যুক্ত করতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন ৪/৬ মাস সময় নিয়ে ভালোভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে হবে। 

আপনি যখন গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টর প্রতিটা কাজের প্রতি দক্ষতা অর্জন করবেন। তখন ক্লায়েন্টের যেকোনো কাজ আপনি করে দিতে পারবেন। তাই আমাদের উচিত অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এর যেকোন একটি সেক্টরে জ্ঞান অর্জন ও স্কিল তৈরি করা।

 

২. ল্যাপটপ কম্পিউটার অথবা স্মার্ট ফোন

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য দ্বিতীয় যে অস্ত্র সেটা হল ডিভাইস। অর্থাৎ, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার অথবা স্মার্ট ফোন থাকলেই হবে। 

তবে নিজেকে যদি প্রফেশনাল ভাবে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় যুক্ত করেন। তাহলে অবশ্যই একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার কিনতে হবে। কিন্তু প্রথম অবস্থায় মোবাইল দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যাবে। তবে এটা সত্য মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সকল কাজ করতে পারবেন না। 

এখন কথা হল ফ্রিল্যান্সিং এরকম সেক্টরে কাজ করার জন্য কোন ধরনের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দরকার। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা ওয়েব ডিজাইন শিখতে চান। তাহলে এক্ষেত্রে ভালো মানের কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে। 

আবার যদি শুধুমাত্র ব্লগিং বা এফিলিয়েট মার্কেটিং অথবা কনটেন্ট রাইটিং করতে চান। সেক্ষেত্রে নিম্নমানের কম্পিউটার হলেও চলবে। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু কিছু কাজ মোবাইল দিয়েও করা সম্ভব। 

 

৩. ইন্টারনেট কানেকশন 

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য সবথেকে বেশি প্রয়োজনীয় হলো ইন্টারনেট কানেকশন। ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং কল্পনা করা যায় না। তাই ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে অবশ্যই আপনার বাড়িতে ইন্টারনেট কানেকশন আছে কিনা যাচাই করে নিবেন। 

তবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে ওয়াইফাই লাইন লাগবে তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন ধরনের সিম কোম্পানির মাসিক প্যাকেজ ক্রয় করেও ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। প্রত্যেক মাসে ৩০০/৪০০ টাকার ইন্টারনেট প্যাকেজ ক্রয় করলেই হবে। আর আপনার বাড়িতে যদি ওয়াইফাই লাইন থাকে তাহলে তো ভালো হয়। 

 

৪. ইংরেজি ভাষা জানা

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি ইন্টারন্যাশনাল পেশা। তাই আপনাকে বিশ্ব ব্যাপী কাজ করতে হবে। যখন আপনি বিশ্ব ব্যাপী ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করবেন। তখন কিন্তু অবশ্যই আপনাকে ইন্টারন্যাশনাল ভাষা জানতে হবে। অর্থাৎ, আপনাকে ইংরেজি ভাষা জানতে হবে।

কিন্তু আমাদের মাতৃভাষা ইংরেজি না। তাই আমাদের পক্ষে ইংরেজি ভাষায় ক্লাইনের সাথে কথা বলা একটু কষ্টকর। তবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি ভাষায় কথোপকথন করতে হবে। 

তাই আপনার জানতে হবে কিভাবে ইংরেজিতে কমিউনিকেশন করতে হয়। এছাড়াও সব থেকে সহজ উপায় হল গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করা। গুগল ট্রান্সলেটর এর মাধ্যমে খুব সহজেই যেকোন দেশের ভাষা আপনি বুঝতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সাথে সাথে আপনাকে ইংরেজি ভাষাটাও শিখে রাখতে হবে। যেটা আপনার জন্য খুবই সুবিধাজনক দিক। 

 

৫. ধৈর্য ধারণ করা

জীবনে যেকোনো সেক্টরে সকল হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে প্রচুর পরিমাণ ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ঠিক তেমনিভাবে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরেও ধৈর্য সহকারে আপনাকে কাজ করতে হবে। অনেকেই ভাবে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। 

হ্যাঁ, এটা সত্য কথা। তবে টাকা ইনকাম করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কাজের প্রতি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ধৈর্য ধারণ করে কাজ শিখতে হবে। তারপর সর্বশেষ ক্লায়েন্টের কাজ ঠিকমতো করে দিতে হবে। তাহলেই মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। 

তবে ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা উপার্জন করতে হলে আপনাকে সর্বনিম্ন ৬/১০ মাস সময় দিতে হবে। আবার দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রে ৩/৪ চার মাসেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ পেয়ে যায়। তাই সঠিক সময় কেউ বলতে পারবে না। এখন আপনার যদি দীর্ঘ ছয় মাস ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা না থাকে। তাহলে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সফল হতে পারবেন না। 

এ কারণে আপনার যদি ধৈর্য ধারণ করার মন-মানসিকতা থাকে। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটা আপনার জন্য। তাই ধৈর্য ধারণ করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে লেগে থাকুন। ইনশাল্লাহ একদিন সফল হবেন। 

 

৬. ইচ্ছা শক্তি থাকতে হবে

সকল সেক্টরে কাজ করার জন্য অবশ্যই নিজের ইচ্ছা শক্তির দরকার। আপনার নিজের প্রতি নিজের যদি বিশ্বাস না থাকে। নিজের ইচ্ছাশক্তি যদি জাগ্রত করতে না পারেন। তাহলে কিন্তু কোন সেক্টরের সফল হতে পারবেন না। তাই যেকোন সেক্টরে কাজ করতে হলে অবশ্যই ইচ্ছা শক্তি অপরিহার্য একটি নৈতিক গুণাবলী। 

তাই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে হলে নিজের ইচ্ছা শক্তিকে আরো বাড়াতে হবে। এমন মনোবল তৈরি করতে হবে, যাতে আপনি যখন ধৈর্যহারা হবেন। তখন নিজের ইচ্ছা শক্তির কাছে যেন হতাশা ও দুশ্চিন্তাও হার মানে। তাই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শেখার সময় ও পরবর্তীতে নিজে ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগাবেন। 

 

উপসংহার

আশা করি, ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন তা জানতে পেরেছেন। আমাদের আজকের লেখা অবশ্যই নতুন একজন ফ্রিল্যান্সারকে সফল ফ্রিল্যান্সার হতে অনেক সহায়তা করবেন। তাই আপনি যদি একজন সফল হতে চান। তাহলে উপরোক্ত গুণাবলী গুলো অর্জন করুন। তো বন্ধুরা, আমাদের আজকের আর্টিকেল কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট করুন।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *