?> কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনা - Best Information

কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনা

কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনা।

বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলা। বাউল সম্রাট লালন শাহ’র তীর্থভূমি, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত, বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের কালজয়ী সৃষ্টি বাংলাদেশের শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ করেছে কুষ্টিয়া জেলাকে। কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:-
১) ফকির লালন সাঁইজির মাজার,
২) রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ী,
৩) মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা,
৪) লালন শাহ সেতু,
৫) জিউর মন্দির,
৬) ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ,
৭) টেগর লজ ইত্যাদি।

কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনা।

১) ফকির লালন সাঁইজির মাজার

ফকির লালন সাঁইজির মাজার অবস্থান কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায়। লালন শাহ তাঁর শিষ্যদের নীতি ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিতেন এ কুমারখালি উপজেলার ছেউড়িয়াতে। তিনি প্রতি শীতকালে তাঁর আখড়ায় একটি মহোৎসব আয়োজন করতেন। যেখানে হাজার হাজার লালন শাহের শিষ্য একত্রিত হতেন এবং সেখানে সংগীত ও আলোচনা করতেন। লালন সাঁইজির মৃত্যুর পর তাকে এ স্থানে সমাহিত করা হয়। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সমাধি স্থলেই এক মিলন কেন্দ্র বা আখড়া গড়ে ওঠেছে। তাঁর সমাধি ঘিরে রয়েছে তাঁর শিষ্যদের সারি সারি কবর।

২) রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি ও জাদুঘর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক কুঠিবাড়িটি খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদেহ ইউনিয়নের খোরশেদপুর গ্রামে অবস্থিত। ঐতিহাসিক ঘরটি (Rabindranath Tagore’s Shilaidaha Kuthibari) নামে পরিচিত। বাড়িটি কুষ্টিয়া শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরুত্বে অবস্থিত।

৩) মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা

জনপ্রিয় উপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক বিষাদ সিন্দু খ্যাত মীর মশাররফ হোসেন এর বাস্তুভিটা (Mir Mosharraf Hossain Bastubita) কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপলাজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে অবস্থিত। বাস্তভিটার উপর বর্তমানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে ওঠেছে। এটি কুষ্টিয়ার মেইন শহর দুই কিলোমিটার দূরুত্বে অবস্থিত।

৪ ) টেগর লজ

নয় কাঠা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিমাখা লাল রঙের দোতলা কারুকার্যখচিত ‘টেগর লজ বা ঠাকুর লজ’ (Tagore Lodge) ভবনটি কুষ্টিয়া জেলার মিলপাড়ায় অবস্থিত। ১৮৯৫ সালে বিশ্বকবি কুষ্টিয়াতে ব্যবসায়িক কাজে এসে এটি নির্মাণ করেন।

৫) লালন শাহ সেতু

বাংলাদেশের একমাত্র একক রেল সেতু হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশেই পদ্মা নদীর উপর অবস্থিত কুষ্টিয়া ও পাবনা জেলাকে সংযোগকারী লালন শাহ্‌ সেতু (Lalon Shah Bridge)। লালন শাহ সেতু কুষ্টিয়া জেলা থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরে। সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত বাউল সাধক গুরু ফকির লালন সাঁইজির এর নামে।

৬) ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ

ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন ইট, পাথর, বালি ও চিনামাটি দ্বারা নির্মিত ঝাউদিয়া শাহী জামে মসজিদটি কুষ্টিয়া সদর উপজেলা থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জনশ্রুতি আছে, ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ অলৌকিক ভাবে নির্মিত হয়েছে। অনেকের মতে, এই অঞ্চলে সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে ইরাকের শাহ সুফি আদারি ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে আস্তানা হিসাবে মসজিদটি নির্মাণ করেন।

কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনায় বেস্টইনফো সদস্যদের ভ্রমণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *