চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
বাংলাদেশের সর্ব পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
১) ছোট সোনা মসজিদ,
২) বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপটেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সমাধি
৩) তোহাখানা,
৪) নাচোল রাজবাড়ী,
৫) শাহ নেয়ামতুল্লাহ এর মাজার,
৬) চামচিকা মসজিদ,
৭) দারাসবাড়ি মসজিদ,
৮) দারাসবাড়ি মাদ্রাসা ( বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন মাদ্রাসা বর্তমানে পরিত্যাক্ত)
৯) স্বপ্নপল্লী,
১০) ধানিয়াচক মসজিদ,
১১) রহনপুর নওদা বুরুজ,
১২) নীলকুঠি,
১৩) মহানন্দা নদী,
১৪) শুড়লার তেঁতুল গাছ,
১৫) টাংঘন পিকনিক পার্ক ও
১৬) কানসাটের জমিদার বাড়ি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনা
১) ছোট সোনা মসজিদ
রাজশাহী বিভাগের আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে সুলতানি স্থাপত্যের রত্ন হিসাবে আখ্যায়িত ছোট সোনা মসজিদ (Choto Sona Mosque) অবস্থিত। ছোট সোনা মসজিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে প্রধান হিসাবে ধরা হয়। ছোট সোনা মসজিদের প্রধান প্রবেশ পথের উপরে স্থাপিত শিলালিপি পাওয়া যায়, ১৪৯৩ থেকে ১৫১৯ সালের মধ্যে সুলতান হুসাইন শাহর শাসনকালে জনৈক মনসুর ওয়ালী মুহম্মদ বিন আলী ছোট সোনা মসজিদটি নির্মাণ করেন। প্রচলিত আছে, একসময় মসজিদের গম্বুজগুলো সোনা দিয়ে মোড়ানো ছিল এবং সে কারণেই মসজিদটি সোনা মসজিদ হিসাবে পরিচিতি পায়। আর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছে ভারতে আয়তনে বড় আরেকটি সোনা মসজিদ থাকায় এই মসজিদটি সকলের কাছে ছোট সোনা মসজিদ নামে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠে। মসজিদের সামনের আঙ্গিনা পশ্চিম থেকে পূর্বে ৪২ মিটার এবং দক্ষিণ থেকে উত্তরে ৪৩.৫ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
২) বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপটেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সমাধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরেত্বে অবস্থিত শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী তোহাখানা কমপ্লেক্স বা তোহাখানা (তাহ খানা) অবস্থিত। তোহাখানা (তাহ খানা) (Tohakhana) একটি তিনতলা বিশিষ্ট রাজ প্রাসাদ। তোহাখানা (তাহ খানা) একটি ফার্সি শব্দ, যার আভিধানিক অর্থ ঠান্ডা ভবন বা প্রাসাদ। গৌড়-লখনৌতির ফিরোজপুর এলাকায় একটি বড় পুকুরের পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত ভবন কাঠামোটি ঐতিহ্যগতভাবে তোহাখানা (তাহ খানা) নামে পরিচিত।
৩) শাহ নেয়ামতুল্লাহ এর মাজার
রাজশাহী বিভাগের আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানায় অবস্থিত শাহ নেয়ামত উল্লাহ ওয়ালী মাজার। শাহ নেয়ামতুল্লাহ এর মাজার মুঘল যুগের অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন ও অন্যতম প্রাচীন মাজার বলে বিবেচনা করা হয়। এটি বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।
৪) দারাসবাড়ি মসজিদ
রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ছোট সোনামসজিদ ও কোতোয়ালি দরজার মধ্যবর্তী স্থানে ওমরপুরের সন্নিকটে অবস্থিত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব প্রথম মুসলিম স্থাপত্যকীর্তির উল্লেখযোগ্য হলো দারসবাড়ি মাদ্রাসা ও মসজিদ। মহানন্দা নদীর তীর ঘেঁষে ৩ কিলোমিটার দূরে বিজিবির সীমান্ত তল্লাশি চৌকি পেরিয়ে আরো কিছুদূর হেঁটে আমবাগানের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হলেই দারসবাড়ি মাদ্রাসা ও মসজিদ তবে দারাসবাড়ি মসজিদ ও মাদ্রাসা উভয়টি এখন পরিত্যাক্ত।
৫) তোহাখানা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরেত্বে অবস্থিত শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী তোহাখানা কমপ্লেক্স বা তোহাখানা (তাহ খানা) অবস্থিত। তোহাখানা (তাহ খানা) (Tohakhana) একটি তিনতলা বিশিষ্ট রাজ প্রাসাদ। তোহাখানা (তাহ খানা) একটি ফার্সি শব্দ, যার আভিধানিক অর্থ ঠান্ডা ভবন বা প্রাসাদ। গৌড়-লখনৌতির ফিরোজপুর এলাকায় একটি বড় পুকুরের পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত ভবন কাঠামোটি ঐতিহ্যগতভাবে তোহাখানা (তাহ খানা) নামে পরিচিত।
৬) খানিয়া দীঘি মসজিদ
মুঘল আমলে মুসলিমদের অন্যতম স্থাপত্যকীর্তির হলো খনিয়া দীঘি মসজিদ যার অবস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ছোট সোনা মসজিদের সন্নিকটে। খানিয়া দীঘি মসজিদ ১৫০০ শতকে নির্মিত হয়েছিল। এটি একই সাথে স্থানীয়ভাবে চামচিকা মসজিদ এবং রাজবিবি মসজিদ নামেও পরিচিত।
৭) তিন গম্বুজ মসজিদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মুঘল আমলে মুসলিমদের অন্যতম স্থাপত্যকীর্তির হলো তিন গম্বুজ মসজিদ। তিন গম্বুজ মসজিদ মধ্যযুগের প্রখ্যাত ইসলাম প্রচারক শাহ্ সৈয়দ নেয়ামতউল্লাহ্কে উদ্দেশ্য করে বঙ্গ সুলতান শাহ্ সুজা এই তিন গম্বুজ মসজিদটি নির্মাণ করেন। বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত তিন গম্বুজ মসজিদ ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাটি শাহ্ নেয়ামত উল্লাহ্ মসজিদ হিসেবেও সুপরিচিত যা শাহ নেয়ামত উল্লাহ’র মাজারের পাশেই অবস্থিত।
৮) সোনামসজিদ স্থল বন্দর
রাজশাহী বিভাগের শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় ১৯ কিমি উত্তরে শাহাবাজপুর ইউনিয়নে বাংলাদেশ-ভারত সীমানায় অবস্থিত সোনামসজিদ স্থল বন্দর। সোনামসজিদ স্থলবন্দর বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য একটি স্থল বন্দর। সোনামসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে সারা বছরই ফল, কয়লা, পাথর, মসলা ও কৃষি পণ্য প্রভৃতি আমদানী হয়। এতে করে বন্দর অঞ্চলে গড়ে উঠেছে স্থানীয় বাজার। বর্তমানে সোনামসজিদ স্থল বন্দরটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল বন্দর।
৮) সোনামসজিদ স্থল বন্দর
রাজশাহী বিভাগের শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় ১৯ কিমি উত্তরে শাহাবাজপুর ইউনিয়নে বাংলাদেশ-ভারত সীমানায় অবস্থিত সোনামসজিদ স্থল বন্দর। সোনামসজিদ স্থলবন্দর বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য একটি স্থল বন্দর। সোনামসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে সারা বছরই ফল, কয়লা, পাথর, মসলা ও কৃষি পণ্য প্রভৃতি আমদানী হয়। এতে করে বন্দর অঞ্চলে গড়ে উঠেছে স্থানীয় বাজার। বর্তমানে সোনামসজিদ স্থল বন্দরটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল বন্দর।