?> বক্ষ বিদারণ: মহানবী (সা:)-এর বক্ষ বিদারণ সম্পর্কে আলোচনা BestInfo

বক্ষ বিদারণ: মহানবী (সা:)-এর বক্ষ বিদারণ সম্পর্কে আলোচনা

Sub-Heading

প্রশ্ন: মহানবী (সা:)-এর বক্ষ বিদারণ সম্পর্কে আলোচনা কর।

ভূমিকা:
Muhammad (sm) is the greatest leader, philosopher, teacher and scientice in the world. রাসূল (সা:) পৃথিবীতে সকল কিছুরই আদের্শর উপমেয়। মহান আল্লাহ বলেন, لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ ٱللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
মহান আল্লাহ রাসূল (সা:)-কে অসংখ্য মুজিযা দান করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘বক্ষবিদারণ’।

নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

شرح الصدر- এর পরিচয়:
1. شرح অর্থ: চিরা, উন্মুক্ত করা, ফেড়ে ফেলা, openইত্যাদি।
2. الصدر অর্থ: বুক, বক্ষ, chest ইত্যাদি।
3. شرج الصدر অর্থ: বক্ষ, উম্মুক্ত করা। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন,
4. قال رب اشرح لى صدرى
5. الم نشرح لك صدرك

* বক্ষ বিদারণের সংখ্যা ও সময়:
রাসূল (সা:) এর বক্ষ বিদারণের সংখ্যা নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে তবে অধিকাংশদের মতে ৪ বার হয়েছে।

* প্রথমবার:
রাসূল (সা:) যখন দুধমাতা হালিমার গৃহে চার বছরের বালক ছিলেন, তখন তাঁর প্রথম বক্ষ বিদারণ সংঘতি হয়। এ সম্পর্কে হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللّهِ صلى الله عليه وسلم أَتَاهُ جِبْرِيلُ وَهُوَ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ. فَأَخَذَهُ فَصَرَعَهُ فَشَقَّ عَنْ قَلْبِهِ، فَاسْتَخْرَجَ الْقَلْبَ، فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ عَلَقَةً. فَقَالَ: هذَا حَظُّ الشَّيْطَانِ مِنْكَ، ثُمَّ غَسَلَهُ فِي طَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ بِمَاءِ زَمْزَمَ. ثُمَّ لأَمَهُ. ثُمَّ أَعَادَهُ فِي مَكَانِهِ. وَجَاءَ الْغِلْمَانُ يَسْعَوْنَ إِلَى أُمِّهِ يَعْنِي ظِئْرَهُ فَقَالُوا: إِنَّ مُحَمَّدا قَدْ قُتِلَ. فَاسْتَقْبَلُوهُ وَهُوَ مُنْتَقَعُ اللَّوْنِ. قَالَ أَنَسٌ: وَقَدْ كُنْتُ أَرَى أَثَرَ ذلِكَ الْمِخْيَطِ فِي صَدْرِهِ.( رواه مسلم)

প্রথমবার বক্ষবিদারণের কারণ:
ফেরেশতাদের هذا حظ الشيطان উক্ত দ্বারা বুঝা যায় যে, কলবের এ অংশটুকু সকল পাপের উৎস। তাই রাসূল (সা:) এর কলবকে যাবতীয় শয়তানী কর্মকান্ড থেকে মুক্ত রাখার জন্য শীতল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়।

দ্বিতীয়বার:
রাসূল (সা:)-এর ১০ বছর বয়সে ২য় বার বক্ষবিদারণ হয়। দুইজন ফেরেশতা এসে রাসূল (সা:) এর কলব থেকে হিংসা-বিদ্বেষ ও ঘৃর্ণার পর্দা বের করেন। তারপর কলবটি শীতল পানি দিয়ে পরিষ্কার করে সেখানে দয়া-মায়াও ভালবাসা স্থাপন করে বক্সবিদারণ সম্পন্ন করেন।

২য় কারণ:
আল্লামা ইদ্রীস কান্দলভী বলেন, সাধারণত ১০ বছরের বাচ্চাদের মাঝে আল্লাহ বিমুখ হয়ে খেলাধুলার প্রবণতা বেশি থাকে। আর সেটি দূর করতেই হয় বক্ষ বিদারণ করা হয়েছিল।

৩য় বক্ষবিদারণ:
৪০ বছর বয়সে নবুয়ত প্রাপ্তির প্রারম্ভে হেরা গুহায় ইবাদত মগ্ন থাকাবস্থায় জিবরাঈল (আ:) রাসূল (সা:) এর নিকট এসে ৩য় বার বক্ষ বিদারণ করেন। এ সময় তিনি রাসূল (সা:) এর কলবটি জমজমের পানি দ্বারা ধৌত করে যথাস্থানে রেখে দেন। যেমন আল্লাহ বলেন,
إِنَّا سَنُلْقِى عَلَيْكَ قَوْلاً ثَقِيلاً

৩য় কারণ:
রাসূল (সা:)-কে অহীর সূক্ষ্ম জ্ঞান দান ও আল্লাহর কালামকে ধারণ করার যোগ্য করে তুলা।

৪র্থ বক্ষবিধারণ:
মিরাজ গমনের পূর্বে ৪র্থ বার রাসূল (সা:)-এর বক্স বিদারণ হয়। এসময় রাসূল (সা:) উম্মে হানীর গৃহে ছিলেন। অত:পর জিবরাঈল (আ:) সহ তিনজন ফেরেশতা এসে রাসূল (সা:) কে যমযম কূপের নিকট নিয়ে যান। মিকাঈল (আ:) তাঁর কলবের কালো অংশটুকু যমযমের পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করেন। অত:পর ঈমান ও হেকতম দ্বারা তাঁর কলব পূর্ণ করেন।

৪র্থ কারণ:
মিরাজের উদ্দেশ্য যেহেতু আল্লাহর সাথে সরাসরি সাক্ষাত ও কথোপকথন তাই দৈহিক ও আধ্যাত্মিক উভয় দিক হতে উপযোগী করার জন্য বক্ষ বিদারণ করা হয়।

বক্ষবিদারণ সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মত:
1. অধ্যাপক উইলিয়াম মুরের মত: তিনি রাসূল (সা:) বক্ষ বিদারণ অস্বীকার করে বলেন, এটি ছিল রাসূল (সা:) এর ঊঢ়রষবঢ়ংু বা মৃগীরোগ। যা ভ্রান্ত ধারনা মাত্র।
2. কেউ কেউ বলেন, বক্ষবিদারণের ঘটনা ছিল রাসূল (সা:)-এর ভূতে ধরা রোগ। যা মিথ্যা কথা।
3. ইউরোপিয়ান কতিপয় লেখকের প্ররোচনায় কতিপয় মুসরিম লেখক বক্ষ বিদারণের ঘটনাকে অস্বীকার বা রূপক অর্থে গ্রহণ করেছে। অথচ মহান আল্লাহ রাসূল (সা:) এর বক্ষবিদারণ ফেরেশতাদের দ্বারা ঘটিয়েছেন। الم نشرح لك صدرك
4. আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতে মতে, রাসূল (সা:) এর বক্ষ বিদারণ দৈহিক ও বাস্তবে হয়েছিল।
5. জমহুর আলেমগণ বলেন, রাসূল (সা:)-এর বক্ষ বিদারণকে আধ্যাত্মিক বলা অর্থ হাদীসকে অস্বীকার করা।
6. আল্লামা আসকালানী (রহ:) বলেন, রাসূল (সা:) এর বক্ষ বিদারণ যেভাবে হাদীসের বর্ণিত হয়েছে। সেভাবে বিশ্বাস করা ওয়াজীব।
7. আল্লামা সূয়ুতি বলেন, বর্তমান যুগে কিছু মুসলিম লেখক রাসূল (সা:) এর বক্ষ বিদারণকে অস্বীকার ও রূপক অর্থে ব্যবহার করেছেন। এটা সম্পূর্ণ ভুল, অজ্ঞতা এবং ধর্মীয় ব্যাপারে উদাসীনতা এবং আল্লাহর হেদায়েত থেকে বঞ্চিত।

 

মহানবী (সা:)-এর বক্ষ বিদারণ এর উপর ভিত্তি করে নিচে একটি কুইজ দেওয়া আছে।

নিচের কুইজটির উত্তর প্রদান করে নিজের দক্ষতা যাচাই করুন। 

2

দুঃখীত! আপনি কুইজটি ইতোমধ্যে দুইবার সাবমিট করেছেন। দয়াকরে অন্য কুইজ চেষ্টা করুন।

যার অবদানে উত্তরটি পাওয়া:
রিয়াজুল ইসলাম
রিয়াজুল ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রিয়াজুলকে অনুসরণ করুন:

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সকল সাবজেক্ট এর উত্তর পত্র পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। 

যোগাযোগ করার ঠিকানা: 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *