?> বীমা এর পরিচিতি, উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ - Best Information
বীমা

বীমা এর পরিচিতি, উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ

বীমা এর পরিচিতি, উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ(Introduction, Origin and Development of Insurance)

মানুষের জীবন ও জীবিকা এবং সম্পদাদি বিভিন্ন রকম ঝুঁকির হাত হতে আর্থিকভাবে রক্ষার ব্যবস্থাই হলো বীমা । একটি ছোট দুর্ঘটনা বা রোগশোক কোনো ব্যক্তির জীবনপ্রদীপ যেমন নিভিয়ে দিতে পারে, তেমনি পারে তাকে শারীরিকভাবে অক্ষম ও অকার্যকর করে দিতে; এমনকি সম্পদ ধ্বংস হওয়ার ফলে নিঃস্ব হয়ে পড়তে পারে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। এরূপ অসহায় ও নিঃস্ব অবস্থা হতে ব্যক্তি, পরিবার বা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকভাবে রক্ষা করার একটি আধুনিক ব্যবস্থা বীমা নামে অভিহিত। বীমা মানুষের অসহায় অবস্থাকে আর্থিকভাবে মোকাবিলার একটি বিশেষ কৌশল।

বীমার পরিচয় (Introduction of Insurance)

বীমা শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ Insurance। এটি এমন এক ধরনের চুক্তি যার মাধ্যমে দলবদ্ধ কতিপয় লোক ঝুঁকি মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতা করতে চুক্তিবদ্ধ। যার আভিধানিক অর্থ হলো : ক্ষতিপূরণ চুক্তি, ভবিষ্যতে টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্টভাবে টাকা জমা রাখা। ভাবী-হানির প্রতিকার নিমিত্ত চুক্তি, যার ফলে এক পক্ষের মৃত্যু/সম্পত্তিহানি হলে অপরপক্ষ ক্ষতিপূরণস্বরূপ অর্থ দেয়। কিস্তিতে কিস্তিতে অল্প পরিমাণে চাঁদা দিয়ে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য দুর্ঘটনা বা মৃত্যু ঘটলে বা নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হলে অধিক টাকা পাওয়ার চুক্তি। কিস্তিতে কিস্তিতে প্রদেয় চাঁদার বিনিময়ে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হলে কিংবা মৃত্যু বা দুর্ঘটনা ঘটলে মেয়াদের পূর্বেই জীবন, সম্পত্তি বা মূল্যবান দ্রব্যাদির ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ পাওয়ার চুক্তি।

পা‌রিভা‌ষিক সঙ্গাসমূহ:
১. Rock Fell (রক ফেল) বলেন, ( Insurance is a source of distribution of loss of few persons into many persons) অর্থাৎ, “ বী*মা হলো কতিপয় ব্যক্তির ক্ষতি অনেক ব্যক্তির মধ্যে বণ্টন ব্যবস্থা।”

২. শ্রী আগরওয়ালা বলেন, বী*মা একটি যৌথ ব্যবস্থা যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ ঝুঁকি সংশ্লিষ্ট লোকসমূহের মধ্যে বণ্টন করে দেয়া যেতে পারে।

৩. Encyclopedia Britannica, Insurance: Method of distributing accidental losses among large numbers of insured person. The insures promises, in return for a consideration, to reimburse the insureal or to render services to the insured in the event that certain accidental occurrences result in losses during a given time period.’

8. The New Webster’s Dictionary of the English Language-এ বলা হয়েছে, Insurance: The practice by which an individual secures financial compensation for a specified loss or damage resulting from risk of any sort, by contract with a company to which he pay’s regular premiums. 38

৫. Mark Dorfman (মার্ক ডর্ফম্যান)-এর মতে, “Insurance is a financial arrangement that redistributes the costs of unexpected losses.” অর্থাৎ, “বীমা এমন একটি আর্থিক ব্যবস্থা যা অপ্রত্যাশিত ক্ষতির ব্যয় পুনঃবন্টন করে।”

6. The Insurance Dictionary তে বলা হয়েছে, “Insurance is a protection, through specified money compensation or reimburesment for loss. provided by written contract against the happening of specified chance or unexpected events.” – অর্থাৎ, “বীমা এমন একটি আর্থিক প্রতিরোধ, যেখানে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলে তার ক্ষতিপূরণ করা হয়।”

৭. M.N. Mishra (এম. এন. মিশ্র) বলেন, “Insurance is a co-operative device to spread the loss caused by a particular risk over a number of persons, who are exposed to if and who agree to insure themselves against the risk.”” অর্থাৎ, “বীমা এমন একটি সহযোগিতামূলক ব্যবস্থা, যা দ্বারা নির্দিষ্ট কারণে সংঘটিত ক্ষতি ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বণ্টন করা হয়, যারা ঝুঁকির বিপক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণে সম্মত হয়েছে।”

৮. G. S. Panda (জি.এস. পান্ডা) বলেন, “Insurance is a way of reducing uncertainty of occurance of an event.” অর্থাৎ, “কোনো অনিশ্চয়তাজনিত ঝুঁকি হ্রাসের উপায়কে বীমা বলে।”

৯. Mac Gill (ম্যাক গিল)-এর মতে, “Insuracne is a process in which uncertaities are made certain.” অর্থাৎ, “অনিশ্চয়তাকে নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াকে বীমা বলে।”

সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেষণ করলে বীমা বলতে বোঝায় :

ক. মানুষের জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতির বিপরীতে আর্থিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা;

খ. প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বীমাকারী কর্তৃক বীমা গ্রহীতার আর্থিক ঝুঁকি বহন;

গ. বীমাকৃত একদল ব্যক্তির মধ্যে ঝুঁকি বণ্টন ব্যবস্থা:

ঘ. আর্থিক ক্ষতিপূরণের সুস্থ সামাজিক জীবন নিশ্চিত করা;

৫. আর্থিক অনিশ্চয়তা দূরীকরণের মাধ্যমে সামাজিক নিশ্চয়তা বিধান করা ইত্যাদি ।

পরিশেষে বলা যায়, জীবন ও সম্পদ অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে আর্থিক ব্যবস্থা। নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থার পরিচালিত করার বিশেষ ব্যবস্থার নাম হলো বীমা। বীমা মানুষের জীবন ও সম্পদের আর্থিক অনিশ্চয়তা মোকাবিলা করে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখে। আর্থিকভাবে ঝুঁকি মোকাবিলা করে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎকে নিশ্চিতভাবে চলতে সহায়তা করে।

 

বীমার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ(Origin and Development of Insurance)

কবে, কোথায় বীমাব্যবস্থার প্রচলন শুরু হয়, তার সঠিক ইতিহাস পাওয়া বেশ কঠিন। তবে প্রাচীনকালে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে বিশেষকরে ইতালিকে কেন্দ্র করে চতুর্দশ শতাব্দীতে ইউরোপে ব্যবসায় বাণিজ্যের উদ্ভব হয় এবং একে ঘিরেই বীমাব্যবস্থার গোড়াপত্তন হয় বলে অনেকের ধারণা। বীমার ক্রমোন্নতির ইতিহাসকে আমরা কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করতে পারি। যথা-

১. প্রাচীন যুগ (Ancient Age) : সভ্যতার শুরুতেই নিজেদের বিভিন্ন ঝুঁকির হাত হতে রক্ষা করে ব্যবসায় বাণিজ্য তথা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হওয়ার প্রচেষ্টা মানুষের অনন্তকালের। ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রচলনের প্রথমেই বিশেষকরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যখন অধিকাংশই নৌপথে পরিচালনা শুরু করে তখন থেকে মানুষ ঝুঁকি হ্রাসের প্রচেষ্টা চালায় । কেউ কেউ বলেন ব্যাবিলনীয়, গ্রিক, রোম সভ্যতায় খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০০- অব্দে বীমার প্রচলন শুরু হয়। খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ অব্দে তো ‘General Average’ পদ্ধতি অর্থাৎ ‘সম্মিলিতভাবে ঝুঁকি গ্রহণ’-এর নিয়ম প্রবর্তিত হয়। এ সময়ে বীমাব্যবস্থা হিসেবে ‘Bottomary Bond’, General Average and Bottomary Bonds. Bonds প্রভৃতি ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, ‘Bottomary Bond’ বলতে সকল ব্যবসায়ী বা জাহাজের নাবিকগণ কর্তৃক সম্মিলিত ঋণ বা তহবিল বা বন্ড ব্যবস্থা বোঝাতো, কোনো ব্যবসায়ির পণ্যদ্রব্য ক্ষতিগ্রস্ত হলে যা হতে ঋণ বা সাহায্য প্রদান করা হতো। এরূপ বিভিন্ন কার্যক্রমই ভারত, ব্যাবিলন, গ্রিক ও রোমে বীমাকে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করে তোলে ।

২. মধ্যযুগ (Middle Age) : সভ্যতা ও ব্যবসায় বাণিজ্যের বিকাশের সাথে সাথে বীমা ব্যবসায়ের প্রাচীন যুগের অবসান ঘটে এবং উন্মেষ ঘটে মধ্যযুগের। এ সময়ে বিভিন্ন বীমাব্যবস্থার উন্নয়নে যে পর্যায়ক্রমিক উন্নতি সাধিত হয় তা আলোচনা করা হলো-

ক. নৌ বীমার উন্নয়ন (Development of Marine Insurance) : নৌ বীমাই মূলত বীমার সর্বপ্রাচীন এবং মূলরূপ । নৌপথে পণ্যদ্রব্য এক দেশ হতে অন্য দেশে আনা- নেয়ার মধ্য দিয়ে নৌ বীমারও গোড়াপত্তন ঘটে। প্রথমদিকে ব্যবসায়িগণ নিজেদের মধ্যে নৌপথে সৃষ্ট ক্ষতি ভাগাভাগি করে নিত যাকে ‘জেনারেল এভারেজ’ নামে আখ্যায়িত করা হতো। পরবর্তীতে ব্যবসায়িগণ আরও সংঘটিত হয়ে ‘Bottomary Bond’. ‘General Average’ বন্ড নামে বিভিন্ন জনপ্রিয় নৌ বীমা- প্রকল্প চালু করে। এ সময়ে ভারত, ব্যাবিলনীয়, রোম, গ্রীক সভ্যতায় এ বীমা ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

১১৮২ সালে ইহুদি ব্যবসায়িগণ ফ্রান্স থেকে বিতাড়িত হলেও নৌ বীমাকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। নৌবীমার প্রচলনে ইটালি সর্বাধিক ভূমিকা রাখে যা পরবর্তীতে ফ্লোরেন্স, জেনেভা, ভেনিস এবং লাম্বার্ডি স্ট্রীটে ” ছড়িয়ে পড়ে। ১৩১০ সালে বেলজিয়ামে ইন্সিওরেন্স চ্যাম্বার স্থাপিত হয়। ১৫১৫ সালে রানি এলিজাবেথ-১ এর সময়ে ইংল্যান্ডে বহুজাতিক বীমা কোম্পানি স্থাপিত হয়। ১৬৯৬ সালে লন্ডনে Edward Lioyd নামক একজন কফি বিক্রেতা যিনি নৌ বীমার ব্যাপক উৎকর্ষ সাধন করেছিলেন, তিনি নৌ ও বাণিজ্যিক স্বার্থবিষয়ক Liyod’s News প্রচলন শুরু করেন। এখানেই পরবর্তীতে নিয়মিত প্রচারিত হতো Lioyds List। লয়েড কফি হাউস ১৭৭৪ সালে লয়েড অ্যাসোসিয়েশন-এ পরিণত হয়। ১৮৭১ সালে Lioyd’s Act পাস হয়। Lioyd’s বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম নৌ বীমা সংস্থা। ১৯০৯ সালে ইংল্যান্ডে নৌ বীমা আইন এবং ১৯২৮ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে *The Indian Insurance Companies Act’ প্রণীত হয়, যা পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে সংশোধিতরূপে গৃহীত হয়। আজ পর্যন্ত এটিই উপমহাদেশে প্রধান বীমা আইন হিসেবে পরিচিত।

খ. অগ্নি বীমার উন্নয়ন (Development of Fire Insurance) : ১৬০৯ সালে জার্মানিতে অগ্নিবীমার প্রচলন ঘটে। পর্যায়ক্রমে হল্যান্ড ও ইউরোপে তা ছড়িয়ে পড়ে। ১৬৬৬ সালে লন্ডন এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৩২০০ বাড়িঘর ভস্মীভূত হয় এবং প্রায় দশ হাজার কোটি ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দে ড. নিকোলাস বারবান কর্তক (Dr. Nicholas Barban) একক অগ্নিবীমা কোম্পানি এবং ১৭১০ সালে ২৪ অংশীদারের ‘Sun Fire Office’ নামে বীমা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়। ১৭২০ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নৌ বীমা আইন পাস হয়। ১৮৬১ সালে ইংল্যান্ডে ‘Fire Insurance Office’ স্থাপনের মধ্য দিয়ে এটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজস্ব অগ্নি কোম্পানি আইন প্রতিষ্ঠা করে এ বীমা পরিচালনা করছে।

গ. জীবন বীমার উন্নয়ন (Development of Life Insurance) : নৌ ও অগ্নি বীমার পর জীবন বীমাব্যবস্থার প্রচলন ঘটে। ১৫৮৩ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনে উইলিয়াম গীবন (William Gibbon) নামক একজন ব্যক্তির এক বছর মেয়াদি ৮% হারে প্রিমিয়াম গ্রহণের মধ্য দিয়ে জীবন বীমা পলিসিরি প্রবর্তন ঘটে। ১৬৯৬ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে The Hand in Hand’ নামে একটি জীবন বীমা কোম্পানি স্থাপিত হয়, যা ১৬৯৯ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। ২০ ১৭০৫ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত ‘Amicable Society’

প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জীবন বীমা কার্যক্রম শুরু করে। ভারতীয় উপমহাদেশে কয়েকজন ইউরোপীয় ১৮১৮ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি বা ‘দি ওরিয়েন্ট লাইফ ইন্সিওরেন্স কোম্পানি’ (The Orient Life Insurance Company) স্থাপনের মধ্য দিয়ে জীবন বীমার প্রচলন ঘটান। ২১ ১৮৭০/৭১ সালের দিকে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বীমা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে; তন্মধ্যে- i. Bombay Mutual Life Assurance Society; ii. Orient Govt. Security Life Assurance Co. Ltd. উল্লেখযোগ্য।

ঘ. বিবিধ বীমার প্রচলন ( Introduction of Miscellianeous Insurance) : নৌ, অগ্নি ও জীবন বীমার ব্যাপক প্রচলনের পর সময়ের প্রয়োজনে বিশ্বব্যাপী আজ দুর্ঘটনা বীমা, সামাজিক বীমা, বাড়ি বীমা, শস্য বী*মা, মোটরযান বী*মা, চৌর্য বী*মা, ক্ষতিপূরণ বীমাসহ বহুবিধ বীমার প্রচলন হয়েছে।

৩. আধুনিক যুগ (Modern Age) : ইউরোপে শিল্প বিপ্লব পরবর্তী যুগই মূলত বী*মা ব্যবসায়ে আধুনিক যুগ হিসেবে স্বীকৃত। এ সময়ে সমগ্র বিশ্বে বীমা ব্যবসায় প্রভূত উন্নতিসাধন করে। ১০টি স্থানীয় নিবন্ধিত কোম্পানিসহ স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ৭৫টি বীমা কোম্পানি ছিল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্টের ৯৫ নং অধ্যাদেশবলে সব বীমা কোম্পানিকে জাতীয়করণ করে পাঁচটি কোম্পানিতে রূপান্তরিত করা হয়। এ পাঁচটি কোম্পানি হলো :

ক. বাংলাদেশ জাতীয় বী*মা কর্পোরেশন,

খ. কর্ণফুলী বী*মা কর্পোরেশন,

গ. তিস্তা বী*মা কর্পোরেশন,

ঘ. সুরমা জীবন বী*মা কর্পোরেশন, এবং

ঙ. রূপসা জীবন বী*মা কর্পোরেশন।

১৯৭৩ সালের ১৪ মে সরকার আর এক নির্দেশের মাধ্যমে প্রথম তিনটি বী*মা সংস্থাকে একত্রিত করে ‘সাধারণ বীমা কর্পোরেশন‘ এবং পরের দু’টি বীমা সংস্থাকে একত্রিত করে ‘জীবন বীমা কর্পোরেশন’ নামে দু’টি সংস্থায় রূপান্তরিত করে। ১৯৮৫ পর্যন্ত ‘জীবন বীমা কর্পোরেশন’ একক জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান ছিল। ১৯৮৪ সালে ইন্সুরেন্স অধ্যাদেশ (সংশোধিত)-এ মাধ্যমে সরকার বেসরকারি খাতে বীমা প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়। তারই ফলশ্রুতিতে ২০০৫ সালে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি মিলে বাংলাদেশে জীবন বীমা কোম্পানির সংখ্যা ২০টি এবং সাধারণ বীমা কোম্পানির সংখ্যা ৪৫টি। বর্তমানে বিশ্বের উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষও বীমা পলিসি গ্রহণে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করছে।

পরিশেষে বলা যায়, ক্রমবিকাশের ধারায় বীমা একটি আধুনিক এবং অত্যাবশ্যকীয় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, যা প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বীমা গ্রহীতার বিভিন্ন প্রকৃতির ঝুঁকি হ্রাস করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *