?> নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনা।

নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনা।

নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনা।

নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে জনপ্রিয় পর্যটন স্থান:
১) পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার,
২) পাহাড়পুর যাদুঘর
৩) কুসুম্বা মসজিদ,
৪) বলিহার রাজবাড়ী,
৫) রঘুনাথ মন্দির,
৬) রবি ঠাকুরের কুঠি বাড়ী,
৭) জগদ্দল বিহার,
৮) আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান,
৯) দিব্যক জয়স্তম্ভ,
১০) ভীমের পানটি
১১) তাল তলি, ঘুঘুডাঙ্গা গ্রাম, নিয়ামতপুর ইত্যাদি।

নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনা।

১) পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার (Paharpur Buddhist Bihar)

নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারটি সোমপুর মহাবিহার (Somapura Mahavihara) নামেও পরিচিত। বর্তমানে বৌদ্ধ বিহারটি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীনতম স্থাপনা। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারটির অবস্থান রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলা থেকে দশ কি.মি. দূরে।

৯ম শতকে বিখ্যাত পাল বংশের ২য় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারটি তৈরি করেন। ১৮৭৯ সালে এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি আবিষ্কার করেন স্যার কানিংহাম। ইউনেস্কো (UNESCU) ১৯৮৫ সালে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (World Heritage) হিসাবে অন্তরভূক্ত করে। ইতিহাস থেকে পাওয়া পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারটি প্রায় তিনশত বছর যাবৎ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদরে ধর্মচর্চার কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো। তৎকালীন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে যেমন তিব্বত, চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং মায়ানমার থেকেও বৌদ্ধরা পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে ধর্মচর্চা ও জ্ঞান অর্জন করতে ছুটে আসতেন।

২)পাহাড়পুর যাদুঘর

এশিয়ার সবচেয়ে বড় ও প্রাচীনতম পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের কাছে ষাটের দশকে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে পাহাড়পুর জাদুঘর (Paharpur Bihar Museum) প্রতিষ্ঠা করা হয়। নওগাঁ জেলা থেকে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার দূরে পাহাড়পুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের আঙিনায় অবস্থিত পাহাড়পুর জাদুঘরে সংরক্ষিত বিভিন্ন প্রাচীনতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো আগত পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ।

৩) কুসুম্বা মসজিদ

নওগাঁ জেলায় অবস্থিত কুসুম্বা মসজিদ (Kusumba Mosque) প্রায় সাড়ে চারশত বছর পুরনো একটি ঐতিহাসিক মুসলিমদের ঐতিহ্য পুরাকীর্তি। কুসুম্বা মসজিদের অবস্থান নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলাধীন ৮ নং কুশুম্বা ইউনিয়নের কুশুম্বা গ্রামে। নওগাঁ জেলা থেকে এই মসজিদটির দূরত্ব প্রায় পয়ত্রিশ কিলোমিটার এবং মান্দা উপজেলা থেকে মসজিদটির দূরত্ব শুধু চার কি.মি। কুসুম্বা মসজিদ সুলতানি আমলের অন্যতাম সাক্ষী । এ মসজিদটির ছবি বাংলাদেশের পাঁচ টাকার নোটে মুদ্রিত আছে।

৪) জগদ্দল বিহার

নওগাঁ জেলা সদর থেকে বাহান্ন কিলোমিটার দূরে ধামইরহাট উপজেলার একটি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হলো জগদ্দল বিহার (Jagaddal Vihara)। প্রায় নয়শত বছরের প্রাচীন এই স্থাপত্য নিদর্শন স্থানীয় বাসিন্দারদের কাছে বটকৃষ্ণ জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ হিসাবেও পরিচিত। আসলে জগদ্দল বিহার ১১শ থেকে ১২শ শতাব্দীর দিকে প্রতিষ্ঠিত একটি বৌদ্ধ বিহার ও শিক্ষা কেন্দ্র।

৫) বলিহার রাজবাড়ি

প্রাচীন বলিহার রাজবাড়ি (Balihar Rajbari) এর অবস্থান নওগাঁ জেলা শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে বলিহার ইউনিয়নে অবস্থিত। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব কর্তৃক জায়গির লাভ করে বলিহার জমিদার বলিহার রাজবাড়ি তৈরী করেন।

৬) ঘুঘুডাঙার তালতলি

একটা সময় প্রাচীন গ্রাম-বাংলার বিভিন্ন সড়কের পাশে দেখা মিলতো তালগাছের সমারহ। সময়ের সাথে সব কিছু বদলে যায় এখন সে দৃশ্য আর খুব একটা চোখে পড়ে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তালগাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে । তবে নওগাঁ জেলা শহর থেকে পশ্চিমে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে হাজীনগর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙ্গা-শিবপুর সড়ক ঘুঘুডাঙার তালতলির অবস্থান । এ সড়কের দুইপাশে প্রায় পাঁচ হাজার তালগাছের সমারহে সড়কটিকে সৌন্দর্যময় করে তুলেছে।

৭) রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী

রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী (Rabindra Kachari Bari) এর রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলায় পতিসর গ্রামে নাগর নদীর তীরে। রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী বাংলাদেশের একটি অন্যতম সংরক্ষিত পুরাকীর্তি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ির দূরত্ব নওগাঁ শহর থেকে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার। ১৮৩০ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ ও জোড়াঠাকুর পরিবারের অন্যতম সদস্য দ্বারকানাথ ঠাকুর এই অঞ্চলে আগমন করেন।

নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনায় বেস্টইনফো সদস্যদের ভ্রমণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *